আজম খান,বাঘারপাড়া(যশোর): যশোরের বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়ীয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান -মেম্বার দ্বন্দ্বে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের ২০ লাখ টাকা ফেরত যাচ্ছে।

চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মধ্যে জটিলতায় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে কর্তৃক্ষ টাকা ফেরতের উদ্যোগ নিয়েছেন। ফলে ওই প্রকল্পের সুবিধাভোগী ১৩৩ জন অতি দরিদ্র মানুষ তাদের প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপজেলার অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) কাজ এক যোগে শুরু করার জন্য নন-ওয়েজ খাতে বরাদ্দ প্রদান করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩৩ জন সুবিধাভোগীর জন্য ১৯ লাখ ২০হাজার ৬০০ টাকা, নন- ওয়েজ খাতে ৯১হাজার ৯৬৫ টাকা, ইউনিয়ন কমিটি’র সম্মানী ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর গত ১০এপ্রিল ২০২৩ থেকে কাজ শুরু করে ১০জুন ২০২৩ তারিখের মধ্যে ৩৬ দিনের কর্মসূচির কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন। সেই মোতাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস প্রকল্পর নির্দেশিকা অনুযায়ী সুবিধাভোগীদের নাম ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তালিকা চেয়ে চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান নির্ধারিত সময়ে তালিকা জমা দেননি। এ উপজেলায় গত১৩ মে ৮ টি ইউনিয়নে কাজ শুরু হলেও নারিকেলবাড়ীয়া ইউনিয়নে কাজ শুরু করা হয়নি। এরমধ্যে গত ৭ জুন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ফলে টাকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।


নারিকেলবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জমির মোল্যাসহ একাধিক সুবিধাভোগী জানান ,আগে থেকে ওই প্রকল্পে কাজ করেছেন। এবার কাজ হলো না আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হলাম।


ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রবিউল ইসলাম জানান, মেম্বারদের সাথে চেয়ারম্যানের সমন্বয় না হওয়ার কারনে এবার কর্মসূচির কাজ করানো সম্ভব হয়নি।


চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা বলেন ,’সঠিক সময় বরাদ্দের খবর আমরা পায়নি’। এ কারণে নিধার্রিত সময়ের মধ্যে কর্মসূচির কাজ করানো সম্ভব হয়নি। তিনি আরো বলেন পরিষদে আরো অনেক সমস্য আছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, উপজেলার নারিকেলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের তালিকা না পাওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি। প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ি টাকা ফেরত যাচ্ছে।